সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভাষ্কর্য vs মূর্তি এ সম্মপর্কে কোরআন কি বলে?

প্রশ্নঃ
আসসালামুআলাইকুম। বর্তমান সময়ে অত্যন্ত আলোচিত একটি বিষয় হলো আদালত প্রাঙ্গন থেকে মূর্তি অপসারণ। অনেকে বলছে এটি একটি ভাষ্কর্য বৈ কিছু না। ইসলাম আসলে মূর্তি ও ভাস্কর্যের বিষয়ে কি বলেছে। এ দুটির মধ্যে আদৌ কোন মৌলিক পার্থক্য আছে কি না?  এ বিষয়ে কুরআন ও হাদিসের দলিল সহকারে জানলে আমরা আমাদের ঈমান রক্ষায় সফল হতে পারব।
 ইনশা আল্লাহ

আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন।

উত্তর
ভাস্কর্য শব্দটা এসেছে ভাস্কর থেকে।

ভাস্কর = ভাস (আলো) + কর অর্থাৎ যা আলো দেয় তাকে ভাস্কর বলে। এজন্য সূর্যের সমার্থক শব্দ ভাস্কর। এখানে আলো জ্ঞান অর্থেও ব্যবহৃত হয়। সে হিসেবে- যা জ্ঞান দেয় তাকেই ভাস্কর বলে।

ভাস্কর্য হচ্ছে ঐ জিনিস, যার মাধ্যমে কোন শিল্পী কোন বিমূর্ত ধারনাকে মূর্তিমান করে। অর্থাৎ কোন মূর্তি থাকবে, যাকে দেখে হয়ত কোন ইতিহাস, ঘটনার কথা মনে পড়বে। অর্থাৎ মূর্তিটি কোন নির্দ্দিষ্ট মেসেজ বহন করবে বা জ্ঞান দিবে।

অর্থাৎ
ভাস্কর হচ্ছে, যিনি কোন বিমূর্ত ধারণাকে ইট,কাঠ,পাথর দিয়ে মূর্ত করেন তাকেই ভাস্কর বলে। এবং ভাস্কর্য হচ্ছে ঐ মূর্তি যা কোন নির্দ্দিষ্ট মেসেজ বহন করে।

ভাস্কর্য অর্থটি ভাল করে বুঝে আসে, তাহলে আমাদের ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে যে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে সেটি সহজেই নিরসন করা সম্ভব।

আমাদের অন্তরের কোন বাসনা বা চেতনাকে দৃশ্যায়িত করা।

যদি সেই দৃশ্যায়িত করা বস্তুটি প্রাণীর মূর্তির সাদৃশ্য নেয়, তাহলে সেটি ভাস্কর্য হবার সাথে সাথে মূর্তি হয়ে যাবে।

আর যদি প্রাণীর দৃশ্য প্রকাশ না করে তাহলে সেটি ভাস্কর্যই থেকে যাবে। যেমন পতাকার ভাস্কর্য নির্মাণ। গাছ, মিনার, জাতীয় ফল কাঠাল, আম ইত্যাদির ভাস্কর্য।

এসব শুধুই ভাস্কর্য। কিন্তু যখন ভাস্কর্যের চিত্রটি ব্যক্তি বা প্রাণীর ছবি প্রকাশ করে তখন সেটি আর শুধু ভাস্কর্য থাকে না মূর্তিও হয়ে যায়।

তো ইসলাম প্রাণী ছাড়া অন্য কিছুর ভাস্কর্যকে নিষিদ্ধ করে না। তাই পতাকা, কাঠাল, আম ইত্যাদির ভাস্কর্য নির্মাণকে হারাম বলার সুযোগ নেই।

কিন্তু ভাস্কর্য মূর্তির রূপ পরিগ্রহ করে, সেই মূর্তি কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ইসলাম এসেছে মূর্তি উৎখাত করার জন্য। মূর্তির মাধ্যমে ঠুনকো হাস্যকর আবেগ প্রকাশ করতো মক্কার মুশরিকরা। সেসব ভাস্কর্যরূপী মূর্তিগুলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে ভেঙ্গেছেন।

কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও হাদীসে রাসূলে এসব ভাস্কর্যরূপী মূর্তির বিরুদ্ধে এসেছে।

উদাহরণতঃ

বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাদের ভাস্কর্যের নামে মূর্তি বানানো হচ্ছে। ন্যায়ের প্রতিকের নামে কাল্পনীক গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য মূর্তি বানানো হচ্ছে।

ঠিক একইভাবে মুশরিকরা পূর্বসূরী আল্লাহর ওলী “ওয়াদ্দ, সুওয়াক, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নাসর” নামক বনী ইসরাঈলের প্রসিদ্ধ আল্লাহর ওলীদের নামে ভাস্কর্য মূর্তি বানিয়েছিল।

“ওয়াদ্দ, সুওয়াক, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নাসর” নাম্মী ভাস্কর্যগুলো কোন কাল্পনিক ব্যক্তি ছিলেন না। তারা সবাই বনী ইসরাঈলের ওলী ছিলেন।

তাদের স্মরণে পরবর্তীতে তাদের নামে ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মাণ করা হয়।

হাদীসের ভাষ্য দেখুনঃ

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، «صَارَتِ الأَوْثَانُ الَّتِي كَانَتْ فِي قَوْمِ نُوحٍ فِي العَرَبِ بَعْدُ أَمَّا وَدٌّ كَانَتْ لِكَلْبٍ بِدَوْمَةِ الجَنْدَلِ، وَأَمَّا سُوَاعٌ كَانَتْ لِهُذَيْلٍ، وَأَمَّا يَغُوثُ فَكَانَتْ لِمُرَادٍ، ثُمَّ لِبَنِي غُطَيْفٍ بِالْجَوْفِ، عِنْدَ سَبَإٍ، وَأَمَّا يَعُوقُ فَكَانَتْ لِهَمْدَانَ، وَأَمَّا نَسْرٌ فَكَانَتْ لِحِمْيَرَ لِآلِ ذِي الكَلاَعِ، أَسْمَاءُ رِجَالٍ صَالِحِينَ مِنْ قَوْمِ نُوحٍ، فَلَمَّا هَلَكُوا أَوْحَى الشَّيْطَانُ إِلَى قَوْمِهِمْ، أَنِ انْصِبُوا إِلَى مَجَالِسِهِمُ الَّتِي كَانُوا يَجْلِسُونَ أَنْصَابًا وَسَمُّوهَا بِأَسْمَائِهِمْ، فَفَعَلُوا، فَلَمْ تُعْبَدْ، حَتَّى إِذَا هَلَكَ أُولَئِكَ وَتَنَسَّخَ العِلْمُ عُبِدَتْ

ইবনু ‘আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে প্রতিমার পূজা নূহ্ (আঃ)-এর কওমের মাঝে চালু ছিল, পরবর্তী সময়ে আরবদের মাঝেও তার পূজা প্রচলিত হয়েছিল। ওয়াদ ‘‘দুমাতুল জান্দাল’’ নামক জায়গার কাল্ব গোত্রের একটি দেবমূর্তি, সূওয়া‘আ, হল, হুযায়ল গোত্রের একটি দেবমূর্তি এবং ইয়াগুছ ছিল মুরাদ গোত্রের, অবশ্য পরবর্তীতে তা গাতীফ গোত্রের হয়ে যায়। এর আস্তানা ছিল কওমে সাবার নিকটবর্তী ‘জাওফ’ নামক স্থান। ইয়া‘উক ছিল হামাদান গোত্রের দেবমূর্তি, নাসর ছিল যুলকালা‘ গোত্রের হিময়ার শাখার মূর্তি। নূহ (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের কতিপয় নেক লোকের নাম নাসর ছিল। তারা মারা গেলে, শায়ত্বন তাদের কওমের লোকদের অন্তরে এ কথা ঢেলে দিল যে, তারা যেখানে বসে মাজলিস করত, সেখানে তোমরা কতিপয় মূর্তি স্থাপন কর এবং ঐ সমস্ত পুণ্যবান লোকের নামেই এগুলোর নামকরণ কর। কাজেই তারা তাই করল, কিন্তু তখনও ঐ সব মূর্তির পূজা করা হত না। তবে মূর্তি স্থাপনকারী লোকগুলো মারা গেলে এবং মূর্তিগুলোর ব্যাপারে সত্যিকারের জ্ঞান বিলুপ্ত হলে লোকজন তাদের পূজা আরম্ভ করে দেয়। (বুখারী, হাদীস নং-৪৯২০, ইফাবা-৪৫৫৫)

উপরোক্ত হাদীস পরিস্কার প্রমাণ করছে যে, মুশরিকরা মূলত তাদের পূর্ববর্তী আল্লাহর ওলীদের স্বরণে তাদের ভাস্কর্য মূর্তি নির্মাণ করেছিল।

ঠিক একই কাজ বর্তমানে ভাস্কর্যপূজারীরা করছে। চেতনা ফেরী করার নামে।

অথচ

পবিত্র কুরআন এসব মূর্তির নামের ভাস্কর্যপূজা নিষিদ্ধ করে আয়াত নাজিল করেঃ

وَ قَالُوْا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَكُمْ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۙ۬ وَّ لَا یَغُوْثَ وَ یَعُوْقَ وَ نَسْرًاۚ۝۲۳ وَ قَدْ اَضَلُّوْا كَثِیْرًا ۚ

‘আর তারা বলেছিল, তোমরা পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদের এবং পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ সুওয়াকে, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে। অথচ এগুলো অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে।’ -সূরা নূহ : ২৩-২৪।

فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَ اجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِۙ۝۳۰

‘তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ -সূরা হজ্জ : ৩০

কুরআন মজীদে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে পথভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে-

رَبِّ اِنَّهُنَّ اَضْلَلْنَ كَثِیْرًا مِّنَ النَّاسِ ۚ ‘ইয়া রব, এরা (মূর্তি ও ভাস্কর্য) অসংখ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে!’ -সূরা ইবরাহীম : ৩৬

অন্য আয়াতে এসেছে-

وَ قَالُوْا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَكُمْ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۙ۬ وَّ لَا یَغُوْثَ وَ یَعُوْقَ وَ نَسْرًاۚ۝۲۳ وَ قَدْ اَضَلُّوْا كَثِیْرًا ۚ۬

‘আর তারা বলেছিল, তোমরা পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদের এবং পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ সুওয়াকে, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে। অথচ এগুলো অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে।’ -সূরা নূহ : ২৩-২৪

اِنَّمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا وَّ تَخْلُقُوْنَ اِفْكًا ؕ

তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে উপাসনা কর (অসার) মূর্তির এবং তোমরা নির্মাণ কর ‘মিথ্যা’। -সূরা আনকাবুত : ১৭

এভাবে অসংখ্য আয়াতে উপরোক্ত ভাস্কর্য নামের মূর্তির নিষিদ্ধের কথা এসেছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তি ও ভাস্কর্যের বিধানঃ

মূর্তি ও ভাস্কর্য : পশ্চাৎপদতা ও ইসলাম বিরোধী সাম্প্রদায়িকতার মূর্তিমান প্রতিভূ

যে ভাস্কর মূর্তির সাদৃশ্য ধারণ করে, তা অবশ্যই মূর্তি। নাম যা’ই রাখা হোক তা মূর্তি। মূর্তির স্থান মন্দিরে। মুসলমানদের চলাচলের রাস্তায় নয়। দর্শণীয় স্থানে নয়।

মসজিদের শহরকে ভাস্কর্যের নামে মূর্তির শহরে পরিণত করার পৌত্তলিক মনোবৃত্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এখন সময়ের দাবী।

এই মূর্তির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন বলেই আমাদের প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেশান্তরিত হতে হয়েছে। রাস্তায় মার খেতে হয়েছে। রক্তাক্ত হতে হয়েছে।

নবীজীর সত্যিকার উম্মতীরা নবীজীর সেই রক্তে রাঙ্গা পথে হেটে হলেও স্বীয় মাতৃভূমিকে মূর্তি মুক্ত করার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বে এটাই ঈমানের দাবী।

তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত, তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা মেহনতের মাধ্যমে এ মূর্তি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা।

আল্লাহ তাআলা আমাদের মূর্তিমুক্ত শান্তির দেশ গড়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বন্ধুর বিয়ে

জীবনের এই ছোট্ট সময়ে প্রতি দিনই জীবন নামক বৃক্ষ  থেকে একটা পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। কবে, কিভাবে এই বিশ বছর কেটে গেল বুঝতেই পারিনি। মা বাবা আত্মীয় স্বজনের মায়া মমতায় কবে যে এত বড় হয়ে গেছি মনেই করতে পারিনি। পড়ার ফাকে বন্ধুর হাকে, হয়েছি চান্ঞল্য চলেছি বাঁকে বাঁকে আজকের এই দিন গুলো কাল সৃতি হয়ে যাবে, মনের খাতায় কোনো পাতায় লেখা হয়ে রবে। দিন যায় দিন আসে, সময়ের স্রোতে ভাসে. কেউ কাঁদে কেউ হাঁসে, তাতে কি যায় আসে. খুঁজে দেখো আশে পাশে,  বেপরোয়া মন কোন সপ্নে  বাঁসে… হৃদয়ের এই ছোট্র কুঠিরে স্বপ্ন বুনেছি অল্প অল্প, সে থেকে শুরু হলো বন্ধু বানানোর অকল্পনীয় এক রুমান্টিক গল্প। অচেনা অজানা এক অনুভূতি, হৃদয়ঙ্গম সহানুভূতি, পাহাড় সমপরিমাণ এক গুচ্ছ স্বচ্ছ স্বপ্ন, নানা ধরণের জল্পনা কল্পনা,হৃদয়ের কেনবাসে আলপনা,সবার ফিলিংসের গল্প না। নানান ফিলিংস নিয়ে উড়তে থাকি এক অজানা স্বপ্নের ঘোরে,কে যেন এ ছোট্ট হৃদয়ে উকি দিয়ে যায়? কিন্তু কে সে? তুমি কি জানো? জানতে পারি নাই।তবে না জানতে পারলেও এতটুকু জানতে পেরেছি সে হবে আমার আগাম জীবনের এক অনন্য বন্ধু, সুখ দুঃখের অংশীদার, লোকে বলে সে নাকি আমার অর্ধাঙ্গীনী,আমি নাকি তা

প্রিয় ভাত

প্রিয় ভাত, কতো স্বপ্ন ছিলো, তুমি সিদ্ধ হয়ে গেলেই কিউট একটা মুরগির ডিম ভাজি করে খাবো। তোমাকে রাখার জন্য সুন্দর একটা কাচের প্লেটও ধুয়ে রেখেছিলাম। তোমাকে ডিমের সাথে সুন্দর করে মাখবো বলে একটু আগেই নখ কেটেছি। তুমি জানো না, কতো মেপে হিসেব করে তোমার পাতিলে পানি দিয়েছিলাম। যেনো সে পানি তোমার জন্য কম বা বেশি না হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার ভুলে যাওয়ার কারণে তোমাকে আগুনে পোঁড়ে প্রাণ দিতে হয়েছে! বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে এভাবে হত্যা করতে চাইনি। আসলে আমারও কোনো দোষ নেই। সৃষ্টিকর্তা পুরুষদেরকে ভাতের খবর রাখার যোগ্যতা দেয়নি। এটা সৃষ্টিগতভাবে নারীদের দেয়া হয়েছে। আর তুমি তো জানই, ব্যাচেলরদের ঘরে কোনো নারী থাকে না। অতএব, আমাকে অভিশাপ দিও না। বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমার শোকে এখন আমি একটার পর একটা বিস্কিট খেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমি জানি, বিস্কিট কখনও তোমার স্থান দখল পারবে না। তাই বিস্কিটের প্যাকেট খালি করেও আমি তোমাকে বিন্দুমাত্র ভুলতে পারছি না। তুমি আমার প্রিয় রিজিক। আমাকে ক্ষমা করে দিও। ইতি- ব্যাচেলরদের পক্ষে. H,R,