সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বন্ধুর বিয়ে

জীবনের এই ছোট্ট সময়ে প্রতি দিনই জীবন নামক বৃক্ষ  থেকে একটা পাতা ঝড়ে যাচ্ছে।
কবে, কিভাবে এই বিশ বছর কেটে গেল বুঝতেই পারিনি।
মা বাবা আত্মীয় স্বজনের মায়া মমতায় কবে যে এত বড় হয়ে গেছি মনেই করতে পারিনি।
পড়ার ফাকে বন্ধুর হাকে,
হয়েছি চান্ঞল্য
চলেছি বাঁকে বাঁকে
আজকের এই দিন গুলো কাল সৃতি হয়ে যাবে,
মনের খাতায় কোনো পাতায় লেখা হয়ে রবে।

দিন যায় দিন আসে, সময়ের স্রোতে ভাসে. কেউ কাঁদে কেউ হাঁসে, তাতে কি যায় আসে. খুঁজে দেখো আশে পাশে,  বেপরোয়া মন কোন সপ্নে  বাঁসে…
হৃদয়ের এই ছোট্র কুঠিরে স্বপ্ন বুনেছি অল্প অল্প,
সে থেকে শুরু হলো বন্ধু বানানোর অকল্পনীয় এক রুমান্টিক গল্প।
অচেনা অজানা এক অনুভূতি, হৃদয়ঙ্গম সহানুভূতি, পাহাড় সমপরিমাণ এক গুচ্ছ স্বচ্ছ স্বপ্ন,
নানা ধরণের জল্পনা কল্পনা,হৃদয়ের কেনবাসে আলপনা,সবার ফিলিংসের গল্প না।
নানান ফিলিংস নিয়ে উড়তে থাকি এক অজানা স্বপ্নের ঘোরে,কে যেন এ ছোট্ট হৃদয়ে উকি দিয়ে যায়?
কিন্তু কে সে? তুমি কি জানো? জানতে পারি নাই।তবে না জানতে পারলেও এতটুকু জানতে পেরেছি সে হবে আমার আগাম জীবনের এক অনন্য বন্ধু, সুখ দুঃখের অংশীদার, লোকে বলে সে নাকি আমার অর্ধাঙ্গীনী,আমি নাকি তার স্বামী।
ভাবতেই যেন কেমন লাগে
আচ্ছা কেমন লাগে?
বলতে পারবো না।

নেই কোন পরিচিতি,না আছে কোন রক্তের সম্পর্ক, তার পরে ও নানান অনুভূতি আর জল্পনাকল্পনা নিয়ে মানুষ এক অচেনা অজানা মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে,গড়ে তুলে এক স্বপ্নের ভূবন যেখানে নেই কোন বাঁধা,নেই কোন ভয়, সেখানে বানিয়ে ফেলে এক অকল্পনীয় রুমানটিক সিন,যেখানে রয়েছে  হুমায়ূনের ময়ূরাক্ষী নদী, অপ্সরী কণ্যার রাজ্য,
আলাদীনের চেরাগ,অর্থাৎ যা হবে তার মর্জিমাফিক হবে। সে হবে সে রাজ্যের রাজা, আর অপ্সরী কন্যা হবে তার রাণী।
কিন্ত  এই মহীয়সী যাকে নিয়ে এত চিন্তা ভাবনা সে মানুষটি কে?কে?কে?
নিশ্চয় তুমি জানো না।
কি এক কুদরতি খেলা,যাকে তুমি চিনই না থাকে নিয়ে এত স্বপ্ন আর এটাকেই বলে ইসক,মহব্বত,ভালবাসা।
সবই মহান প্রভূর ইচ্ছা।
জীবনে চলার পথে হাজার বাঁধা বিপত্তি আসতেই পারে সেই বাঁধা কে ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে,জানো তো???
পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানব, যিনি আমাদের আদি পিতা সায়্যিদুনা আদম (আঃ)ও সর্ব প্রথম দুনিয়াতে আসতেই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে ছিলেন,
আবুনা আদম আঃ নিরাশ হয়ে যাননি, বরং কাংখিত সাফল্য অর্জন করে জীবন পরিচালনা করেছেন।
এই ইসক্ব, মহব্বত যেন সব সময় ঠিকে থাকে
এটাই এই অধমের আকুতি,মিনতি
জানো তো?????
সম্পর্ক ভঙ্গ করার হাজারটি কারণ থাকতে পারে,
কিন্তু সম্পর্ক রক্ষা করার শুধু একটিই কারণ, আর তা হচ্ছেঃ প্রেম,মহব্বত, ভালবাসা।


প্রিয় বন্ধু মনওয়ার,
তুমি কি জানো!
তুমি কত্ত দূর্ভাগা?তুমি যদি বাদশাহ শাহজাহানের সময়ে বিবাহ করতে তাহলে শাহজাহান তোমাকে উপহার হিসেবে তাজ মহল উপহার দিত।
তুমি যদি নজরুল এর সময়ে বিবাহ করতে তাহলে সে উপহার দেয়ার লক্ষে তার বিখ্যাত একটি গ্রন্থ লিখে তুমায় উপহার দিত।
তুমি যদি বাদশাহ সিকান্দার এর সময়ে বিবাহ করতে তাহলে তোমায় উপহার দেয়ার লক্ষে এক এলাকার শাসনকর্তা নিয়োগ দিত।
কিন্তু দেখ তুমার ভাগ্য কত্ত খারাপ তুমি জন্ম নিলে আমার সময়ে, আর তাই তুমি কোন উপহার না পেয়ে শুধু পাচ্ছ ছোট্ট একটি উইশ,
প্রিয় বন্ধু মনওয়ার,
তুমি কি জানো!এ অপরুপ অবয়ব লিলাভূমী কতটুকু খুশি?
বাহিরে তাকিয়ে দেখো কি মনোরম পরিবেশ !কি মনোরম দৃশ্য! তোমার জন্য সূর্য হাসছে , গাছেরা নাচছে , পাখিরা গান গাইছে,ফুটন্ত গোলাপ ফুল গুলি তোমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে  ..
কেন জানো!
কারণ আমি সবাইকে বলেছি যে তোমার বিয়েতে শুভেচ্ছা জানাতে !
শুভ বিবাহ।।।

                                    শুভেচ্ছান্তেঃ হুমায়ূন রফিক

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রিয় ভাত

প্রিয় ভাত, কতো স্বপ্ন ছিলো, তুমি সিদ্ধ হয়ে গেলেই কিউট একটা মুরগির ডিম ভাজি করে খাবো। তোমাকে রাখার জন্য সুন্দর একটা কাচের প্লেটও ধুয়ে রেখেছিলাম। তোমাকে ডিমের সাথে সুন্দর করে মাখবো বলে একটু আগেই নখ কেটেছি। তুমি জানো না, কতো মেপে হিসেব করে তোমার পাতিলে পানি দিয়েছিলাম। যেনো সে পানি তোমার জন্য কম বা বেশি না হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার ভুলে যাওয়ার কারণে তোমাকে আগুনে পোঁড়ে প্রাণ দিতে হয়েছে! বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে এভাবে হত্যা করতে চাইনি। আসলে আমারও কোনো দোষ নেই। সৃষ্টিকর্তা পুরুষদেরকে ভাতের খবর রাখার যোগ্যতা দেয়নি। এটা সৃষ্টিগতভাবে নারীদের দেয়া হয়েছে। আর তুমি তো জানই, ব্যাচেলরদের ঘরে কোনো নারী থাকে না। অতএব, আমাকে অভিশাপ দিও না। বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমার শোকে এখন আমি একটার পর একটা বিস্কিট খেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমি জানি, বিস্কিট কখনও তোমার স্থান দখল পারবে না। তাই বিস্কিটের প্যাকেট খালি করেও আমি তোমাকে বিন্দুমাত্র ভুলতে পারছি না। তুমি আমার প্রিয় রিজিক। আমাকে ক্ষমা করে দিও। ইতি- ব্যাচেলরদের পক্ষে. H,R,...

টাইপিং কারীদের জন্য যুক্ত বর্ণের সমাধান

শিক্ষানিয় একটি পোষ্ট করলাম। বাংলা টাইপিং এ যারা দুর্বল তাদের কাজে লাগবে। ১. ক্ষ = ক+ষ ২. ষ্ণ = ষ+ণ ৩. জ্ঞ = জ+ঞ ৪. ঞ্জ = ঞ+জ ৫. হ্ম = হ+ম ৬. ঞ্চ = ঞ+চ ৭. ঙ্গ = ঙ+গ ৮. ঙ্ক = ঙ+ক ৯. ট্ট = ট + ট ১০. ক্ষ্ম = ক্ষ + ম = ‍ক + ষ + ম ১১. হ্ন = হ + ন ১২. হ্ণ = হ + ণ ১৩. ব্ধ = ব + ধ ১৪. ক্র = ক + ্র (র-ফলা) ১৫. গ্ধ = গ + ধ ১৬. ত্র = ত + ্র (র-ফলা) ১৭. ক্ত = ক + ত ১৮. ক্স = ক + স ১৯. ত্থ = ত + থ (উদাহরন: উত্থান, উত্থাপন) ২০. ত্ত = ত + ত (উদাহরন: উত্তম, উত্তর, সত্তর) ২১. ত্ম = ত + ম (উদাহরন: মাহাত্ম্য) নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে ল িখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়। ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত) ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন- অক্ট্রয় ক্ত = ক + ত; যেমন- রক্ত ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন- বক্ত্র ক্ব = ক + ব; যেমন- পক্ব, ক্বণ ক্ম = ক + ম; যেমন- রুক্মিণী ক্য = ক + য; যেমন- ব...