সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রিয় ভাত

প্রিয় ভাত,
কতো স্বপ্ন ছিলো,
তুমি সিদ্ধ হয়ে
গেলেই কিউট একটা
মুরগির ডিম ভাজি
করে খাবো।
তোমাকে রাখার জন্য
সুন্দর একটা কাচের প্লেটও
ধুয়ে
রেখেছিলাম।
তোমাকে ডিমের
সাথে সুন্দর করে মাখবো
বলে একটু
আগেই নখ কেটেছি।
তুমি জানো
না,
কতো মেপে হিসেব করে
তোমার
পাতিলে পানি দিয়েছিলাম।
যেনো সে পানি তোমার জন্য
কম বা
বেশি না হয়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার
ভুলে যাওয়ার কারণে
তোমাকে
আগুনে পোঁড়ে প্রাণ দিতে
হয়েছে!
বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে
এভাবে
হত্যা করতে চাইনি।
আসলে আমারও
কোনো দোষ নেই।
সৃষ্টিকর্তা
পুরুষদেরকে ভাতের খবর
রাখার
যোগ্যতা দেয়নি।
এটা সৃষ্টিগতভাবে
নারীদের দেয়া হয়েছে।
আর তুমি তো
জানই,
ব্যাচেলরদের ঘরে কোনো
নারী থাকে না।
অতএব, আমাকে অভিশাপ
দিও না।
বিশ্বাস করো,
আমি তোমাকে অনেক
ভালোবাসি।
তোমার শোকে এখন
আমি একটার পর একটা
বিস্কিট খেয়ে
যাচ্ছি। কিন্তু আমি জানি,
বিস্কিট
কখনও তোমার স্থান দখল
পারবে না।
তাই বিস্কিটের প্যাকেট খালি
করেও
আমি তোমাকে বিন্দুমাত্র
ভুলতে
পারছি না।
তুমি আমার প্রিয়
রিজিক।
আমাকে ক্ষমা করে দিও।
ইতি-
ব্যাচেলরদের পক্ষে.
H,R,F

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভাষ্কর্য vs মূর্তি এ সম্মপর্কে কোরআন কি বলে?

প্রশ্নঃ আসসালামুআলাইকুম। বর্তমান সময়ে অত্যন্ত আলোচিত একটি বিষয় হলো আদালত প্রাঙ্গন থেকে মূর্তি অপসারণ। অনেকে বলছে এটি একটি ভাষ্কর্য বৈ কিছু না। ইসলাম আসলে মূর্তি ও ভাস্কর্যের বিষয়ে কি বলেছে। এ দুটির মধ্যে আদৌ কোন মৌলিক পার্থক্য আছে কি না?  এ বিষয়ে কুরআন ও হাদিসের দলিল সহকারে জানলে আমরা আমাদের ঈমান রক্ষায় সফল হতে পারব।  ইনশা আল্লাহ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন। উত্তর ভাস্কর্য শব্দটা এসেছে ভাস্কর থেকে। ভাস্কর = ভাস (আলো) + কর অর্থাৎ যা আলো দেয় তাকে ভাস্কর বলে। এজন্য সূর্যের সমার্থক শব্দ ভাস্কর। এখানে আলো জ্ঞান অর্থেও ব্যবহৃত হয়। সে হিসেবে- যা জ্ঞান দেয় তাকেই ভাস্কর বলে। ভাস্কর্য হচ্ছে ঐ জিনিস, যার মাধ্যমে কোন শিল্পী কোন বিমূর্ত ধারনাকে মূর্তিমান করে। অর্থাৎ কোন মূর্তি থাকবে, যাকে দেখে হয়ত কোন ইতিহাস, ঘটনার কথা মনে পড়বে। অর্থাৎ মূর্তিটি কোন নির্দ্দিষ্ট মেসেজ বহন করবে বা জ্ঞান দিবে। অর্থাৎ ভাস্কর হচ্ছে, যিনি কোন বিমূর্ত ধারণাকে ইট,কাঠ,পাথর দিয়ে মূর্ত করেন তাকেই ভাস্কর বলে। এবং ভাস্কর্য হচ্ছে ঐ মূর্তি যা কোন নির্দ্দিষ্ট মেসেজ বহন করে। ভাস্কর্য অর্থটি ভাল করে বুঝে আ

বন্ধুর বিয়ে

জীবনের এই ছোট্ট সময়ে প্রতি দিনই জীবন নামক বৃক্ষ  থেকে একটা পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। কবে, কিভাবে এই বিশ বছর কেটে গেল বুঝতেই পারিনি। মা বাবা আত্মীয় স্বজনের মায়া মমতায় কবে যে এত বড় হয়ে গেছি মনেই করতে পারিনি। পড়ার ফাকে বন্ধুর হাকে, হয়েছি চান্ঞল্য চলেছি বাঁকে বাঁকে আজকের এই দিন গুলো কাল সৃতি হয়ে যাবে, মনের খাতায় কোনো পাতায় লেখা হয়ে রবে। দিন যায় দিন আসে, সময়ের স্রোতে ভাসে. কেউ কাঁদে কেউ হাঁসে, তাতে কি যায় আসে. খুঁজে দেখো আশে পাশে,  বেপরোয়া মন কোন সপ্নে  বাঁসে… হৃদয়ের এই ছোট্র কুঠিরে স্বপ্ন বুনেছি অল্প অল্প, সে থেকে শুরু হলো বন্ধু বানানোর অকল্পনীয় এক রুমান্টিক গল্প। অচেনা অজানা এক অনুভূতি, হৃদয়ঙ্গম সহানুভূতি, পাহাড় সমপরিমাণ এক গুচ্ছ স্বচ্ছ স্বপ্ন, নানা ধরণের জল্পনা কল্পনা,হৃদয়ের কেনবাসে আলপনা,সবার ফিলিংসের গল্প না। নানান ফিলিংস নিয়ে উড়তে থাকি এক অজানা স্বপ্নের ঘোরে,কে যেন এ ছোট্ট হৃদয়ে উকি দিয়ে যায়? কিন্তু কে সে? তুমি কি জানো? জানতে পারি নাই।তবে না জানতে পারলেও এতটুকু জানতে পেরেছি সে হবে আমার আগাম জীবনের এক অনন্য বন্ধু, সুখ দুঃখের অংশীদার, লোকে বলে সে নাকি আমার অর্ধাঙ্গীনী,আমি নাকি তা